কবিতা : পরমেশ্বর শিব, রচয়িতা : সোহম দে প্রয়াস।

কৈলাসে অধিষ্ঠান করেন ত্রিলোচন সদাশিব।
ভক্তের অভিলাষ পূর্ণ করেন দেব হয়গ্রীব।
কন্ঠ তাঁহার জড়ায়ে র’য়েছেন বাসুকি নাগরাজ।
শিরের শোভা বর্ধন করেন জ্যোতির্ময় দ্বিজরাজ।
ব্যাঘ্রচর্ম পরিধান করেন ভস্মমাখা অঙ্গে।
শিবের জটামধ্যে বিরাজিতা পবিত্র গঙ্গে।
অনুচরগণ করে তাঁহার মহীমার কীর্তন।
কেবল বিল্বদলে প্রসন্ন হন দেব পঞ্চানন।
আলো জ্বালিয়া প্রণতি জানান নক্ষত্রকোটি।
কখনো ডমরু-ত্রিশূল লইয়া নাচেন ধুর্জটি।
মন্থনকালে পান করিলেন সমুদ্রের হলাহল।
রুদ্রাক্ষের সৃষ্টি করিল তাঁহার নয়নের জল।
চূর্ণ করিলেন প্রজাপতি দক্ষের অহংকার।
তীরাঘাতে করিলেন ত্রিপুরাসুর সংহার।
সৃষ্টি রক্ষায় করিলেন জলন্ধররে বধ।
স্তম্ভরূপে থামাইলেন ব্রহ্মা-বিষ্ণুর বিরোধ।
কৃপার প্রসাদ বাঁটিলেন তাঁহার সুরাসুর ভক্তমাঝে।
নিজ পুত্রীরে নিযুক্ত করিলেন জগৎ শুদ্ধের কাজে।
শিবের আদর্শ যদি জাগ্রত হয় মানুষের অন্তরে,
সঁপিয়া দেবে আপন জীবন পরহিতের তরে।