কবিতা : দাশরথি, রচয়িতা : সোহম দে প্রয়াস।

কৌশল্যাপুত্র, দশরথ নন্দন, শ্রী রঘুবীর।
বিনয়ের প্রতীক, পরম দয়ালু, যুদ্ধে প্রবীর।
ত্রেতায় আবির্ভূত হলেন প্রভু অযোধ্যা নগরে।
শত্রুমনে জাগিত ভীতি তাঁহার ধনুর টঙ্কারে।
দাশরথির হস্তে হ’ল সুবাহু সংহার।
তাঁহার স্পর্শে হ’লেন অহল্লা উদ্ধার।
গুরুর আদেশে গেলেন সয়ম্বর সভায়।
হরধনু ভঙ্গ ক’রে আনিলেন সীতায়।
ঋষি রক্ষায় করিলেন তারকা বিনাশ।
পিতৃসত্য হেতু বরণ করেন বনবাস।
লীলাছলে মুখে তোলেন শবরীর উচ্ছিষ্ট।
বালীর দর্প নাশে প্রভু হ’লেন নিবিষ্ট।
সুগ্রীবে দেখাইলেন মিত্রতার নিদর্শন।
সমরাঙ্গনে করিতেন শৌর্যের প্রদর্শন।
ভূমিজারে হরিয়া লঙ্কায় নিলো দশানন।
ভার্যারে ফেরাতে রাম করিলেন প্রাণপণ।
ঋষ্যমূকে মিলন হ’লো মহাবীরের সনে।
বানরসেনা লয়ে গিয়ে বধিলেন রাবণে।
শরৎকালে করিয়াছিলেন দুর্গার বোধন।
উদ্যত হইয়াছিলেন দানিতে আপন নয়ন।
রামকার্যে সহায়তা ক’রে হনুমান অমর।
শ্রীরামের ভক্তিতে শিব হ’লেন রামেশ্বর।
গোলোকের নারায়ণ ত্রেতায় হ’লেন রাম।
তাঁহার চরণ স্পর্শে শুচি হ’লো ধরাধাম।
লীলা রচিয়া তরাইলেন অগণিত নারী-নরে।
অধর্ম নাশিয়া, ধর্ম স্থাপনা করিলেন চরাচরে।
ভয় আদি পালায় সকল রামনাম স্মরণে।
রামনাম অব্যর্থ ভয়ানক পাপ স্খলনে।