কবিতা : শ্মশানচারিণী, রচিয়িতা : সোহম দে প্রয়াস

ঘোর তিমিরে যোগিনীগণ নাচিতেছে যেথায়,
আমার তৃষিত প্রাণ সেথায় ছুটিয়া যাইতে চায়।
সেথায় করালিনীর অট্টহাসে কম্পিত হয় ধরা।
তাঁহার করে শোভা পায় অসি আর নরচূড়া।
লীলায় মুগ্ধ হইয়া তাঁহার পদে পড়েন মহাকাল।
কালীর দর্শনের আশে স্তুতি করে যতেক দিকপাল।
তাঁহার কৃপায় নিষ্ক্রিয় হয় পরাক্রমী রিপুদল।
ভাঙিয়া ফেলে সেঁ পাপরূপী লৌহের শৃঙ্খল।
শ্মশানের টানে ছাড়িয়াছে সেঁ আপন সদন।
স্বেচ্ছায় ম্লান করিয়াছে চাকচিক্যময় বদন।
শ্মশানে শবদেহ অনায়াসে পঞ্চভূতে মেলায়।
এহেন দৃশ্য অগণিত সাধকের চৈতন্য জাগায়।
ভষ্ম হয় সকল মান-অভিমান চিতার অনলে।
অহংকারের নাশ হয়ে যায় শমনের ছলে।
এই স্থানেই ঘুচে যায় যত অবাঞ্ছিত অভিলাষ।
শ্মশানচারিণীর কোলে সন্তান ফিরে পায় নিজ মূল আবাস।