প্রেম – ৩
শুনছি ঋত্বিক ঘটকের ভূত চেপেছে তোমার ঘাড়ে!
সত্যি নাকি?
শিথিল হাওয়ায় গর্ত খুঁড়ে বুনছো নাকি শিল্পের বীজ
স্বপ্নে দেখো সুখের মোড়কে বাঁধা দীর্ঘ নগর
ব্যাকুল হয়ে তুলছো ছবি শ্যামল হাতে
ক্ষুধার্ত মিছিল, রক্তাক্ত হৃদয় মৃত্যুর সড়ক জুড়ে
সত্যি নাকি! পান পাত্রে ঢালছো কবিতার উপমা, এবং
নাগরিক চাঁদের আলো ছড়িয়ে দিয়েছো ব্যথার নাচঘরে!
অভীসুর দেখো, আকাশ ভাঙা কষ্টের দখলে মানুষের ঘর-দুয়ার
আর কণিক যৌবনে তুমুল আঁধার নামে
গেরিলার নিখুঁত চোখের মতো
নগ্ন হয়ে আসে কালো হাতের উদ্যত হিংস্রতা
শিল্পের সবুজ খুলি, হাড়গোড় ডুবে যায় একহাঁটু বুনো ঘাসে।
সরে এসো অভীসুর, ক্রোধের সুই-সুতোয় তোমার সৃষ্টিতে কষ্ট বাড়ে
নিবিড় অরণ্য ছাইরঙা মেঘের দখলে চলে যাবে
খোলস ভেঙে দৃশ্যের ভেতরে ফুটে উঠবে লম্পট চাঁদ
অশুদ্ধ মানুষ, খরা ও প্লাবন
শুন্যতার খেলা খেলে যাবে সশস্ত্র উল্লাসে
কর্পূরের গন্ধের মতো মিলিয়ে যাবে বহুদূরে তোমার আকাঙ্ক্ষা
যতোসব ফলবতী স্বপ্ন ও স্বাদ।
রোদের দম্ভে বেড়ে ওঠে যে শিল্পের নারী
বেণীর শেকল ভাঙে না যে রূপ
তার সন্ধানে নেমে কোনোদিন যদি হারিয়ে যাও
তখন আমি কি নিয়ে থাকবো অভীসুর?
– হৃদি