প্রেম – ২
শব্দের ভীষণ জ্বরে পাগল হবার জোগাড়
কপালে জলপট্টি; ঠোঁটে আবীর রাঙিয়ে
আগুনের চাদর বিছানো নীল খাটে শুয়ে থাকা
আর ভালো লাগে না আমার।
অভীসুর, বুকের ভাজ রুমালে শব্দের মুখটি মুছে দিয়ে যাও;
রোজ রাতে জ্যোৎস্নায় কার্পেটে ময়নামতির দৃশ্যগুলো
এপাশ ওপাশ করে, ইয়ার্কির সিটি বাজিয়ে
ধ্বনির শরীর ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকে চাঁদ
এখন আকাশ মুখ ঢাকে হৈমন্তী মেঘের ঘন চুলে।
মাঝরাতে বাতাসের এস্রাজে ঘুমের সুর ভেসে আসে;
সাথে স্বপ্নের ঠুংরি, কথার রাংতা দিয়ে মোড়া নৌকো
জ্বরের পাহারা ভেঙে যেন ভীড়ে খাটের কিনারে। আর তুমি
মাতাল দৃশ্যের চুনকাম করা দেয়ালে,
বসন্ত বনের খিল আঁটা ঘরে
আধ বোজা চোখের পর্দায় তোমার চুমুর সার্কাস ।
জ্বরের বীজ গেঁথে দিলে বুকে।
সুরের শব্দ বোনা, বোরকা পরা ভ্রু ছোঁবার আগেই
অস্থির ঠোঁটে রাখো পাঁচ আঙুলের ছাপ
চুমোর কালিতে লিখো স্বপ্নের জ্বলজ্বল পোষ্টার।
শব্দের জ্বর ছাড়ে না কেন অভীসুর!
– হৃদি