আমার বয়ান
তবুও সন্ধ্যা যদি নামে
না হয় জ্বেলে দেবো নক্ষত্রের বাতি,
না হয় আবীর রঙে রাঙাবো আকাশ
না হয় লাশের হাড্ডি দিয়ে বাজাবো জীবনের জয়ঢাক;
আমি ছুটবো উদ্দাম
তোমাদের মস্তক ছুঁয়ে এই শপথ নিলাম
আমি ভাঙবো, তবু মচকাবো না।
নিকষ আঁধারে আমি তো চেয়েছি হতে এক আলোর সৈনিক
বিজয় স্তম্ভে দাঁড়াতে আমি তা চেয়েছি হতে দৃপ্ত সংশপ্তক
না, কোনো প্রশংসা বা বরণডালার দরকার নেই আমার
স্বার্থের স্তূপে লাথি মেরে
আমি তো স্বেচ্ছায় নেমেছি এই পথে
এই রাজপথেই আমি আছি, আমি থাকবো।
যৌবনের কোনো এক মায়াময় লগ্নে
পরিবর্তনকামী এই আমি জানিয়েছিলাম-
আমি আপাতত কবি, তারপরে বিপ্লবী।
তারপর ব্রক্ষ্মপুত্র থেকে শীতলক্ষ্যায় কত জল গড়াল
খাঁচায় বন্দী পাখিটা খাঁচা ভেঙ্গে
আর এক অদেখা খাঁচায় পড়লো আটক,
একটার পর একটা জালের সুতা ছাঁড়াতে গিয়ে
মনে হয়, কোথাও এক অদৃশ্য গেরো লেগে আছে
মনে হয়, আপাতত থিতু হয়ে ভাবার এসেছে সময়,
সব্যসাচী হতে গিয়ে দেখলাম কিছুই হতে পারিনি।
আজ আমি সবচেয়ে জোরালো লাউডস্পিকারে ঘোষণা করছি
আমি কবি হতে পারিনি,
আমি শিল্পী হতে পারিনি,
আমি নেতা হতে পারিনি,
আমি কারিগর হতে পারিনি,
আমি সংগঠক হতে পারিনি,
এমনকি পারিনি হতে আধলা বিপ্লবীও।
শুধু নিভু নিভু আগুনে ফুঁ দিয়ে গেছি
কোথাও জ্বলেছে আগুন, কোথাও জ্বলেনি।
তোমরা যাই বলো না কেন
আজন্ম আমি এক স্বপ্নচারী প্রাণ,
অনেক পথ হেঁটে হেঁটে বেড়ে ওঠছি নিজের মতো
বিশাল স্রোতোধারায় মিশবো বলে।