প্রেম -৮
কি ব্যাপার, মেলা ভাঙা মাঠের মতো আঁধার গোমড়া মুখ!
যেন আকাশ ফেটে অঝোর ধারায় কলসি ভাঙা জল
টইটুম্বর বুকের খাদে; শতাব্দীর গাঢ়তর লোডশেডিং
গয়নাগাটি আর খোঁপায়!
জরিপাড় আঁচলে শ্রাবণ হাওয়ার বিনিদ্র উৎসব।
যেন সারারাত অভিমানের পাথর খুঁড়ে হৃৎপিণ্ডে ক্ষতচিহ্নের আভাস।
কি হলো, কথা বলো!
তোমার সাথে কোন কথাই বলবো না আমি-
কেন বলবো
আগে বলো পহেলা বৈশাখ আমার জন্মদিনের নিমন্ত্রণে এলে না কেন ?
ও, তাইতো! একদম ভুলে গেছি।
যা দণ্ড দেবে মাথা পেতে নেবো, আপাতত
এগোনো ভিক্ষাপাত্রে দাও একমুঠো ক্ষমার ধুলো।
তাছাড়া কাল রাতে ছাদের উপর জ্যোৎস্নার মগডালে বসেছিল স্বপ্নের
কনফারেন্স অনাথ চাঁদের ঘোলাটে চোখে শব্দের খুনখারাবি
আর বিকেলে কামারশালার মতো শহরের পথে ঘাটে
আগুনের ফুলকি, বিষণ্ণ বাতাস; মহাপ্লাবনে তছনছ আকাঙ্ক্ষার ব্রিজ।
মিথ্যুক।
কেন?
মেট্রো তে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলো কে?
ফাঁকির পতাকা উড়িয়ে চিতার সীমায় সূর্য ডুবে
দেখতে কি চাও? গোপন আততায়ীর ছুরির আঘাতে হাড়মাংসে অদ্ভুত কান্না
আর কান্নার ভেতরে উদ্বাস্তু হওয়ার ছেনি হাতুড়ীর শব্দ!
কান্না কেন?
অতন্দ্রিলা, এক বাটি কর্নসুপের মতো
পৃথিবীর সব সমুদ্রের নোনাজল খেয়ে ফেলতে পারি
অথচ তোমার এক ফোঁটা অশ্রুকণা বড়ো কষ্ট দেয় আমাকে।
– হৃদি