প্রেম – ৬
আসবার এই তোমার সময় হলো?
দৃশ্যজটের নীরবতা তামাসা করে জোনাকির নাচ দেখিয়ে গেলো
এই বেলা
আমাকে ইডিপাসের নির্বাসন দেবে নাকি?
ধ্যুৎ কি যে বলো!
পরিশুদ্ধ আগুনে মন কি না পোড়ে?
বুকে মগ্নতার দাগ রেখে হাঁটো, নরম নদীর মতো
চোখে নির্বাসিত হয়ে আছো
তবু এত্তো রাগ!
সেই কখন থেকে অপেক্ষার টেবিলে বিদ্রূপের মুচকি হাসি
অভিজাত শব্দের ভাঙচুর, হাতের তালুতে গোপনে সভা করে
রাতজাগা বুড়ো বাতাস।
টাটকা দেহে গজিয়ে যাচ্ছিল যেন ভাঙা মন্ত্রিরের শ্যাওলা
আর
সিগারেটের ধোয়ায় ডুবতে ডুবতে উকি মারছি অহংকারী পথের দিকে।
মনে হলো এক শতাব্দী ধরে বসে আছি রেস্তরার কেবিনে অন্ধ গ্রামে
বসে আছি অপেক্ষার ছেঁড়া -খোড়া বালক ।
চায়ের পেয়ালায় ওড়ে এসে বসে ভবঘুরে কষ্টের নীল মাছি
যেন সেও প্রতীক্ষার হিরন্ময় সুখে উসখুস করে আমার মতন।
কোন উপায় ছিলো না। সারারাত বৃষ্টিতে পথে একহাঁটু জল
ধান্ধাবাজ মেঘের জাহাজটি যেন কিছুতেই নড়বে না বাড়ির চৌকাঠ থেকে
কাদার কাবাবে জুতো গেলো ডুবে, কি বিশ্রী ব্যাপার
কিছু ষণ্ডামার্কা দৃষ্টির উন্মুখ তরবারি উঁচিয়ে আছে আমার উপরে।
তা ছাড়া এই ভরদুপুরে পুরো শহরটা বগলদাবা করে
বাবার নন্দনপুরের সেই বেরসিক ডাক্তার বন্ধুটি এসে হাজির
যা হবার তাই – অতিথি সেবা করো, খানাপিনার পর
উনার আবার গান শোনার শখ হয়েছে
কি করবো বলো
হারমোনিয়ামের রীড থেকে ঝরে পড়তে লাগলো কান্নার খণ্ডিত সুর
হাড় মাংসে তোমার প্রতীক্ষার বিষের জ্বালা, এও কি সহ্য হয়!
আগুনের ফুল হাতে অনন্তকাল ঘুরে বেড়ানোর নামই ভালোবাসা, অতন্দ্রিলা।
– হৃদি