প্রেম – ৪
ফের তাগাদা, কপালে ভাঁজ তুলে যতোই বলো; কিছু হবে না৷
শোনো, মর্মান্তিক অসুখ না হলে
রঙতুলি নিয়ে বসবার অবসর পাবো না৷
হপ্তা খানেক ধরে কবিদের মৃত্যু ভাবনা নিয়ে আঁতিপাঁতি খুঁজছি
কারণ।
মাঝে মাঝে মর্মভেদী তাড়নার শিকার হয় মন।
মৃত্যুর প্রামাণ্য দৃশ্যের ধারালো ছুরি ক্ষতবিক্ষত করে চোখের রেটিনা।
যেন নিপুণ শিল্পের রশ্মি আত্মগোপন করে থাকে
সিলভিয়া প্ল্যাথের আত্মহত্যার ভেতরে। ওর
কবিতা তোমাকে একদিন শুনিয়েছিলাম, মনে আছে?
“The starry Night”
কি বিরল শিল্পবোধের জন্য প্রার্থনা!
ভারী পেট নিয়ে সুখী মায়ের মতো বিশুদ্ধ অগ্নিশিখার জন্যে অপেক্ষা।
সবকিছুই থাকে মানুষের নিয়ন্ত্রণে।
মৃত্যুর ঊর্ধ্বশ্বাস গতির কোলকাতার নির্বান্ধব ট্রাম সঙ্গী করে নেয়
জীবনানন্দকে
যেন, শিশুর উদ্বেগহীন ঘুম, আমাকে আলোড়িত করে
শুশ্রূষার নামে; তির্যক আত্মতুষ্টির মুগ্ধতায় গোলাপ জীবন।
আর আবুল হাসান?
বিস্ময়কর মৃত্যুর আদর্শ মডেল।
সে আমাদের দাঁড় করিয়ে গেছে দেবোপম ঐশ্বর্যের কাছে।
দেখো, একজন অভিমানী কবি চলে গেছে সাহিত্যের ভোগ দিয়ে
পক্ষাঘাতগ্রস্ত রুদ্র বন্ধ্যা মৃত্যুকে জয় করে
আকাশের ধ্রুব তারা হয়ে গেলো ।
আজকাল আমারও কেমন জানি মৃত্যু ভাবনায় পেয়ে বসে, অতন্দ্রিলা!
– হৃদি