তুমি নেই
কতক্ষণ ধরে ধরে কার্নিশের পর্দা মেলে তাকিয়ে দেখলাম
শুকনো পাতাগুলো বাতাসে নড়ছে।
কাল তোমাকে নিয়ে যাবো শহরের অন্য কোন ভাবনায়
অথচ তুমি নেই।
নড়ে উঠা পাতাগুলোর মতোই অপেক্ষার প্রস্থানে
আমার মন কেমন করে উঠলো।
তারপর থেকে বেহালার তারগুলো
আমাকে উম্নন করবে ডেকেও স্থবির ছিলো
হাত থেকে আলপিন খসেও শব্দের শব্দাবলী সুধালে,
তুমি নেই আর সমুদ্রতটে সূর্যাস্ত ধূসর হলে
লহমায় রাত যাবে গভীর নিমগ্নের শাখা প্রশাখায়।
মাটির ঢেলা নিকষ আঁধারে পা ছুঁয়ে গেলে বলবে
অনুভূতি ভেঙেছে নীরবতার অক্ষরমালা,
কলমের আঁচড়ে টুকিটাকি রেখা,
প্রভা উজ্জ্বল্যের টান
মনের আবিরে ছোঁয়া ব্যথিত কথা
পেঁজা তুলোর মতো মেঘের চলোতায় তাকিয়ে
ভাবান্তর ভীড়ে বহতা ভোরের দৃশ্যপটে
বৃষ্টিও আমাকে হার মানালো,
কঁচিপাতাগুলো ভেজা জলের অনুস্বর পূর্ণতা
তোমাকে পেয়েছি কেবল দৃঢ়তায়।
আর সব নিয়ে গেছে মলিন আক্রোশ,
সুবোধ সারল্য ওপাড়ে
ক’জন কথোপকথন।
এই শব্দগুলো পড়বে যখন বুঝবে আমার মৌনতা ব্যক্ত নয়।
আগামীতে কোথায় দেখা হবে কিন্তু কোথায়।
চেতনার উদীচী দেখেছো,
লাল রক্তাক্ত হিমোগ্লোবিন। তৎপর?