একটি চিঠির খসড়া
প্রতিদিন একই নাচনে ওয়ালী ভঙ্গিমায়
ছুঁয়ে যায় হাওয়ার শীতল পরশ,
দিনের পর দিন, কালে-কালে
ছায়ার মতাে নিয়ে তােমায় দিঘির
নিবিষ্ট খেলাচ্ছল
সদা পা ফেলে ফেলে তুমিও খুব উৎসুকে
ডুবসাঁতারে তলিয়ে যেতে থাকো নির্দ্বিধায়।
সাবানের অলস মাখানাে সুরভিত আদরে
পশমের কণায় কণায় ঝাঁপিয়ে পড়া ফেনিল উল্লাস
সব কেচেকুচে স্নান করে ফিরে নিপুণ
তােমার ভিজে শরীর হতে খসে পড়া
টুপটাপ জলের দম্ভ পারলে না নীরাভানা
কিছুতেই আলগে- ঝরে পড়ে ঝরে যায়!
বিস্তর অতীত পেরিয়ে ভাবিতাে বিস্তারে
তুমি প্রবহমান
ঘরে বাহিরে তাড়া করে জ্বালাময়
বয়ে যাওয়া স্থিতি
কস্মিনকালেও তমি ব্যতিত ছবে না,
আর কারাের নিশ্বাস
দৃঢ় প্রতিজ্ঞ দুটি হাত তােমার উৎসর্গে জন্মাবধি
গ্রহণ করাে- এই নাও শুভেচ্ছা অভিবাদন
হৃদয়ের শূন্য ঘাটে ভিড়িয়ে নােঙর
এক দিগন্ত জাগরণে আদান-প্রদান ভালবাসায়
আলাে বিলানাে চাদের মতন অসহায়
উপত্যকার মতাে গভীর স্তব্ধ জ্বল জ্বল
নীল পদ্ম ফুটে ওঠা সমুদ্র সৌন্দর্যে
আছে সরল পিয়ানাে সুরের স্বর্গ তােমার
সুখের এঘর-ওঘর
বসন্তের শিশির মাখানাে বকুল।
তােমাতেই শ্রাবণ
মধু পূর্ণিমার অজস্র রাত
সফল মিলনের সবুজ সীমারেখা
কেবল তােমার একটু স্পর্শ অসীম গুরুত্বে
বেঁচে থাকার স্পন্দন গতি বেড়ে ওঠার অপেক্ষায়।